চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৩৭ জনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এসেছে।

চমেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলাউদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত হাসপাতালে ৩৭ জনের মরদেহ এসেছে।

নিহতদের মধ্যে পাঁচজন ফায়ার সার্ভিস কর্মী রয়েছেন বলে জানান এএসআই মো. আলাউদ্দিন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ২০ জনসহ দেড়শতাধিক লোক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সীতাকুণ্ডস্থ বিএম কনটেইনার ডিপোতে একটি দাহ্য পদার্থের কনটেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে ডিপো এলাকার পাঁচ কিলোমিটার প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, প্রায় ২৬ একর আয়তনের বিএম কনটেইনার ডিপোতে এখনো আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিট সেখানে কাজ করছে।

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনার পরপরই আহতদের আর্তনাদে এলাকায় বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। প্রথমে স্থানীয়রা এবং ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিট অগ্নিনির্বাপনে যোগ দেয়। অবস্থা বেসামাল দেখে কুমিল্লা থেকেও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সীতাকুণ্ডে আসে। রাত ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পানি সংকট সৃষ্টি হয়।

পরে বিভিন্নভাবে পানি যোগাড় করে তারা আবার আগুন নিয়ন্ত্রণে নেমে পড়েন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে একের পর এক কনটেইনার বিস্ফোরণ শুরু হলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিরাপদ স্থানে সরে যান। ভোর থেকে তারা আবার বিভিন্ন কনটেইনার ও কনটেইনারবাহী লরিতে লাগা আগুন নির্বাপনে কাজ শুরু করেছেন।

এদিকে আহত ও নিহতদের স্বজনদের আর্তনাদে মেডিকেলের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। রক্ত দেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবীরা চমেক ব্লাড ব্যাংকে ভিড় করে আছেন।